স্টাফ রিপোর্টারঃ জেলায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া বিপন্ন ও অসহায় পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে ‘গাজী পরিবার’। রূপগঞ্জ উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও দু’টি পৌরসভাসহ জেলার প্রতিটি উপজেলায় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর (বীরপ্রতীক) নিজস্ব অর্থায়নে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে তালিকা করে মন্ত্রী সবার ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের সার্বিক তদারকি করছেন গাজী গ্রুপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা। ঈদকে সামনে রেখে গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পাও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নারায়ণগঞ্জে অর্ধকোটি টাকার খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।
এর মধ্যে তিনি রূপগঞ্জে ৩০ লাখ টাকার, রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ লাখ টাকা, তারাবো পৌরসভাকে ১০ লাখ টাকা, কাঞ্চন পৌরসভাকে ৫ লাখ টাকার খাদ্য সহায়তা দেন। গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা রূপগঞ্জের পুলিশ, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, স্বেচ্ছাসেবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য পিপিই, চশমা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক বিতরণ করেছেন। যার ফলে চিকিৎসক, নার্স ভালোভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে এবং প্রশাসন দায়িত্ব পালন করছে নির্বিঘ্নে।
রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনসহ জেলার প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জীবাণুমুক্ত রাখতে গোলাম দস্তগীর গাজী জীবাণুনাশক টানেল স্থাপন করে দিয়েছেন। গাজী গ্রুপের উদ্যোগে জেলার প্রত্যেকটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কোভিড-১৯ সুরক্ষা বুথ স্থাপন হয়েছে। যার মাধ্যমে দ্রুত নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) বলেন, ‘রাজনীতি মানে জনগণের সেবা করা। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের ক্রান্তিকালে আমাদের যা আছে তাই নিয়ে আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছি। জনগণকে অবশ্যই সরকারের নির্দেশ মেনে চলতে হবে।’
যদিও শুরুতে নারায়ণগঞ্জে করোনা পরীক্ষার ল্যাব ছিলো না, পরীক্ষার জন্য ঢাকার উপর নির্ভর করে থাকতে হয়েছে। নারায়ণগঞ্জবাসীর সেই দুর্ভোগ কমাতে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নিজস্ব অর্থায়নে এবং গাজী গ্রুপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পার উদ্যোগে রূপগঞ্জে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য গাজী কোভিড-১৯ রিয়েল টাইম পিসিআর টেস্ট ল্যাব চালু করা হয়।
গত ২৯ এপ্রিল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী যৌথভাবে কাঞ্চনের বেস্টওয়ে সিটিতে গাজী কোভিড-১৯ রিয়েল টাইম পিসিআর টেস্ট ল্যাব উদ্বোধন করেন।এটিই করোনার হটজোন নারায়ণগঞ্জের প্রথম ল্যাব। এখান থেকে বিনামূল্যে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এছাড়া গণমাধ্যমকর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য আলাদাভাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে গাজী গ্রুপ।
কর্মহীন দরিদ্র পরিবারের জন্য ‘গাজী পরিবার’ ঈদ উপহারেরও ব্যবস্থা করেছে। এ বিষয়ে গাজী গ্রুপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেন, ‘করোনা সংকটে রূপগঞ্জের প্রতিটি মানুষ যেন খেয়ে বাঁচতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তালিকা করে বিতরণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঘরে ঘরে গাজী পরিবারের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সমাজের বিত্তবানরাও সহযোগিতা করছে। যতদিন মহামারি আছে ততদিন আমাদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে।’
এদিকে, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি ও তারাবো পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজীও তালিকা করে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। সরকারি ত্রাণের পাশাপাশি তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগেও ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন।
তারাবো পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজীর সহযোগিতায় পৌর এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশানিধন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি ও তারাবো পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী বলেন, ‘তারাবো পৌর এলাকার কোনো মানুষ অনাহারে থাকবে না। আমরা তাদের পাশে আছি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় তারাবো পৌরসভা বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। জীবাণুনাশক পানি ছিটানো, সতর্কতামূলক প্রচারণা, প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় কর্মহীন দরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।’ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে পৌরসভার প্রতিটা ওয়ার্ডে মশানিধন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply